ওয়েব ডিইজাইনাররা দিনের পর দিন তাদের সৃষ্টিশীল নতুন নতুন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অভ্যস্ত। আর কাজের পরিমান বাড়ার সাথে সাথে পূর্বে যাদের কাজ করেছেন তাদের সমস্যা সমাধানেও ব্যস্ত থাকতে হয়। কেউ কেউ কিন্তু নতুন করে সাজিয়ে তুলতে চাইতে পারে তার সাইট। নতুন কোন কিছু সংযোজন ছাড়া অহেতুক কারনে ঘন ঘন ডিজাইনের পরিবর্তনের বিরোধী আমি। আমি নিজে এখনো বেশ কয়েকটি ডিজাইন পছন্দ করা সত্ত্বেও আমার সবেচেয়ে বেশি ভিজিটরের সাইটের ডিজাইন পরিবর্তনের জন্য হাত দেই না। তার বেশ কয়েকটি কারনের মধ্যে কয়েকটি তুলে ধরা হলো:
- ভিজিটররা একটি নির্দিষ্ট ডিজাইনে অভ্যস্ত হয়ে পরে,হঠাৎ করে ডিজাইনটি পরিবর্তনে অনেকে নতুন ডিজাইনটিকে সহজে মেনে নিতে পারে না। যদিও নতুন ডিজাইনটি সুন্দরতম।
- ২. প্রয়োজন না হলে বা সামান্য প্রয়োজনে রি-ডিজাইনে না করাই ভাল বা এখন নতুন করে ডিজাইন করার সময় হয়েছে কিনা সেটাও দেখার বেপারে। এমন হতে পারে এখন কাজ ধরার কয়েকদিন পরে আবারও সাইটে হাত দিতে হলো।
- ৩. সঠিক পরিকল্পনা ও কি কি বিষয় পরিবর্তন, পরিবর্ধণ, সংযোজন বা বিয়োজন করা হবে তা নির্দিষ্ট না করে নতুনভাবে ডিজাইনটি শুরু করা উচিৎ নয়, কারন এক সময় দেখা যেতে পারে নতুন ডিজাইনটির কিছু কিছু ফিচার না থাকাই ভাল ছিল…।
যে সব বিষয় লক্ষ্য রাখা দরকার:
১. সময় নির্ধারান
ডিজাইনটির পরির্বতন আনার জন্য বেশ কিছু সময় লাগতে পারে। অনেক সময় নতুন সাইট ডিজাইনের চেয়ে বেশি সময় লেগে যেতে পারে। নিজস্ব কোন ওয়েবসাইট বা নিজের পোর্টফলিওর ডিজাইনটি পরিবর্তন করতে হলে যখন কাজের চাপ কম থাকে সেই সময়টাই উত্তম।২. পরিকল্পনা ও রিকয়্যারমেন্ট
Requirement Analysis খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। ওয়েবসাইটের কনটেন্টের বেপারটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাই কনটেন্ট কিভাবে সাজানো থাকবে সে বেপারটাতে মনোযোগ দিতে হবে। বেশ কিছু বেপার এখানে ভেবে নিতে হবে-- ক. ব্লককোট, হেডিং, ফন্ট সাইজ ও রংয়ের কোন পরিবর্ত করা হবে কিনা ।
- খ. ব্যাগ্রাউন্ড ও সাইটের রং কেমন হবে?
- গ. নতুন কোন টাইপোগ্রাফী সংযোজনের দরকার আছে কিনা।
- ঘ. ডাটাবেজে নতুন কিছু যুক্ত হবে নাকি আগের অবস্থায়ই থাকবে, কোন ডাটাবেজ বা ভ্যারিয়্যাবল নাম পরিবর্তন করা হবে ?
- ঙ. ভিজিটর কি কি পছন্দ করে বা করে না, ভিজিটর কি কি সুবিধা চায় বা চায় না তা ও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
- চ. ওয়েব সাইটের স্পিড বাড়ানো ও কম ব্যান্ডউইথে বেশি সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ কারন দিন দিন সাইটের ভিজিটর বাড়ছে বা বাড়বে।
- ছ. নতুন ডিজাইনের মূল লক্ষ কি সেটাও ভেবে নিতে হবে সে অনুসারে কোন রিকয়্যারমেন্ট বাদ দেওয়াও যেতে পারে।
৩. প্রতিযোগী ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ
সমমানের ও প্রতিযোগী ওয়েবসাইটে অনেকগুলো ভাল ফিচার থাকতে পারে। আর সেই ফিচারের দিকে দৃষ্টি দিয়ে নিজের পরিকল্পনায় আরো পরিবর্তন আনা যেতে পারে। তবে অরেকজনের মতো হুবহু কিছু না করাই ভাল হবে।৪. ব্র্যান্ড পরিবর্তন
ব্র্যান্ডিং এর কোন পরিবর্তনের এখনই সুযোগ । নাম, শ্লোগান বা লগো পরিবর্তন করতে চাইলে সেটা নতুন ডিজাইনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হলে সুন্দর হয়। ব্র্যান্ড গঠনের প্রয়োজন সম্পর্কিত আমার লেখাটি দেখে নিতে পারেন।৫. ডিজাইন ও টেষ্টিং
নতুন ডিজাইন ও আগের কনটেন্টগুলোকে নতুন ডিজাইনে স্থানান্তর করতে গেলে বেশ কিছু সমস্যাও হতে পারে যেমন সার্চ ইঞ্জিনের চ্যাল্যাঞ্জটা বড়। পার্মালিংক পরিবর্তিত হয়ে গেলে। আগের লিংকগুলোকে রিডাইরেক্ট করতে হবে। অনেকে ব্লগস্পট থেকে ওয়ার্ডপ্রেসে তাদের কনটেন্ট স্থানান্তরিত করে। নতুন ডোমেইনে একই কনটেন্ট তাহলে এটা ডুপ্লিকেট কনটেন্ট হিসেবে দেখাতে পারে। তাই ব্লগটাকে (ভিন্ন ডোমেইনের হলে) মুছে দেওয়া উচিত অথবা কনটেন্টটি মুছে দিয়ে সেখানে নতুন লিংকটি দিয়ে দেতে পারেন। নতুন ডিজাইনটি আবশ্যই বিভিন্ন পর্যায়ের টেষ্টিং করে তার পর প্রকাশ করা উচিৎ। সব ক্ষেত্রে অবশ্য সবগুলো কথার প্রয়োজন নাও হতে পারে। সাইটের ধরন অনুসারে এর চেয়ে অনেক বেশি বা কম সংখ্যক জিনিস সম্পর্কে সচেতন হতে হয়।Main Link Here
3 comments:
দারুন পোষ্ট দিয়েছেন ভাইয়া। ওয়েব ডিজাইনারদের কাজে লাগবে। ধন্যবাদ।
কাজের একটা পোষ্ট দিয়েছেন দেখছি।
@Mimi
আপনাকে ধন্যবাদ
Post a Comment