১। লোগো
ওয়েব সাইটে ঢোকার পর লোগোটাই আসলে সবার আগে চোখে পড়ে একজন ইউজারের। আপনার যদি কোনো ব্র্যান্ড লোগো থাকে তাহলে সেটিকে পেজের একেবারে উপরে বামদিকে স্থাপন করাটা ভাল হবে, যাতে সাইটে ঢোকার পরপরই একজন ইউজার বুঝতে পারেন সাইটটির মালিককে। লোগো মানে আপনার নামটাই যে হতে হবে তা নয়, তবে আপনি যদি ওয়েবে নিজের নামটিকে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত করতে চান তাহলে নিজের নামকেই লোগো হিসেবে প্রচার করুন। আর লোগোটিকে অবশ্যই নিজের হোম পেজের সঙ্গে লিংক করে দিন। ইউজাররাও এটাই আশা করবে।এখানে জ্যাসন রিড নিজের নামের একটি সিগনেচার ধরনের লোগো ব্যবহার করেছেন।
২। ট্যাগলাইন
ওয়েব সাইটটির স্বত্ত্বাধিকারী কে সেটি জানার পর ইউজার জানতে চাইবেন আপনি ঠিক কী করেন। এ তথ্যটি আপনি তাকে জানাতে পারেন ট্যাগলাইনের মাধ্যমে। আপনার পরিচয়সূচক ট্যাগলাইনটি হতে হবে সংক্ষিপ্ত কিন্তু সুনির্দিষ্ট। ট্যাগলাইনের মধ্যে যেসব প্রশ্নের জবাব থাকতে হবে তার মধ্যে আছে:* আপনি কে? ডিজাইনার? লেখক? ডেভেলপার?
* আপনি কি করেন? ওয়েব সাইট ডিজাইন করেন? গেম ডেভেলপ করেন?
* আপনার আবাস কোথায়? দেশ? শহর?
* আপনি কি ফ্রি ল্যান্সার নাকি কারো পক্ষে কাজ করেন? আপনি কি চাকুরি খুঁজছেন?
৩। পোর্টফোলিও
নিজেকে আপনি যাই বলে দাবি করুন না কেন, আপনার পোর্টফোলিওই মানুষকে জানিয়ে দেবে নিজের কাজে আসলে আপনি কতটুকু দক্ষ। তারা আপনার বিভিন্ন কাজ দেখতে ও এর সম্বন্ধে জানতে চাইবে। আপনি কী করেন তার ওপর ভিত্তি করে সাইটে উচ্চ মানসম্পন্ন ইমেজ থাকা চাই যেগুলোতে ইউজাররা সহজেই অ্যাকসেস নিতে পারবেন। আপনি যেসব সাইট ডিজাইন করেছেন সেগুলোর লিংক দিয়ে দিন। আপনার করা প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য একটি করে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিন, আপনার দক্ষতাগুলোর বিবরণও দিতে পারেন।কোনো ক্লায়েন্ট-এর কাছ থেকে কখনো প্রশংসাবাণী (testimonial) পেয়ে থাকলে সেটি বা সেগুলোকে সাজিয়ে দিয়ে দিন।
৪। সেবা
আপনি কী করেন সেটি আপনার ট্যাগলাইনে বলা থাকলেও, তবে আপনি কোন কোন সার্ভিস অফার করছেন সেগুলোরও নাতিদীর্ঘ বর্ণনা দেয়া আবশ্যক। আপনি কোন কোন সেবা প্রদানে সক্ষম আর কোনটি পারবেন না সেটি সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা চাইতে পারে সম্ভাব্য ক্লায়েন্টরা। যতটা সম্ভব স্পষ্টভাবে বলুন এবং ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও, কপিরাইটিং, ব্র্যান্ডিং ইত্যাদি ক্যাটেগরিতে বর্ণনাকে ভাগ করে নিন।ইচ্ছে করল ক্যাটেগরিগুলোকে সাব-ক্যাটেগরিতেও ভাগ করতে পারেন, যেমন:কর্পোরেট ব্র্যান্ডিং, স্কুল ওয়েবসাইট ডিজাইন, ফ্ল্যাশ ব্যানার অ্যাডস ইত্যাদি।৫। নিজের সম্বন্ধে জানান
আসলে পুরো ব্যাপারটাই একজন ব্যক্তিকে নিয়ে, আর সে ব্যক্তিটি হচ্ছেন আপনি। কাজেই আপনার নিজের সম্বন্ধে পাঠকের কৌতুহল নিবৃত্ত করুন। আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড, কোথায় বড় হয়েছেন, কোথায় কোথায় পড়েছেন, এ ব্যবসায় কতদিন আছেন ইত্যাদি সংক্ষেপে জানিয়ে দিন। যদি আমার মত ক্যামেরা-লাজুক না হন তাহলে নিজের এক বা একাধিক ছবিও দিতে পারেন। এতে তিনি কার সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন সে সম্বন্ধে আরো স্পষ্ট ধারণা পাবেন সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট। আপনি যদি কোনো পুরস্কার বা স্বীকৃতি কখনো পেয়ে থাকেন সে সম্বন্ধেও জানান।নিজের ছবি দিন, প্রয়োজন হলে আপনার নামটি কীভাবে উচ্চারণ করতে হবে তাও জানিয়ে দিন। সর্বোপরি নিজের সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা দিন আপনার ক্লায়েন্টদের।
৬। যোগাযোগ
একটি পোর্টফোলিও সাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এটি। একজন সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট আপনার ওয়েব সাইট দেখে হয়ত ইমপ্রেসড হয়েছেন, জেনেছেন আপনি কে এবং কী, এখন তিনি চাচ্ছেন আপনাকে কাজে লাগাতে। এ কারণেই আপনার সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানা ও উপায় স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। মানুষ যাতে সহজে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে সেজন্য একটা ফর্ম ব্যবহার করতে পারেন।ফর্ম-এর আরেকটি সুবিধা হচ্ছে, এর মাধ্যমে আপনি ক্লায়েন্ট-এর কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্যও চাইতে পারেন, যেমন তার নাম, ইমেইল ঠিকানা,ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস, চাহিদার ধরন ইত্যাদি। আপনার সঙ্গে যোগাযোগে সাহায্য করার জন্য কনটাক্ট ফর্ম ব্যবহার করুন।
সার কথাঃ বিষয়টিকে আরো স্পষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও মাধ্যমের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।এর মধ্যে গত বছর সিনিউজ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment