খুশকি মুক্ত চুল পেতে যা করণীয়!

আসসালামুআলাইকুম। আশা করি সবাই মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও করুণায় ভালোই আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় ও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। প্রথমেই একটু বক বক করে নেই। নয়তো আবার পরে আফসোস করবো এই বলে যে, আহারে! সবাইকে তো টিপস শেয়ার করলাম কিন্তু মনের কথাটা মনেই থেকে গেল? তাহলে ব্লগইন করে মজাটাই বা কি হলো বলুন? তো আজ আমার শরীরটা বেশ ভালো তবে মনটা একটু খারাপ! কেন জানেন?...    তারিখঃ ০৭/০৪/২০১২  |  সবটুকু পড়ুন »

Saturday, March 19, 2011

আপনার ব্লগটিকে জনপ্রিয় করার পদ্ধতি ! পর্বঃ ১ম

বিসমিল্লাহীর রহমানীর রাহিম
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমার মতে আমাদের অনেকেরই ওয়েব সাইট আছে। তাদের মধ্যে অনেকে নতুন ব্লগার এবং অনেকে প্রফেশনাল ব্লগার। কিন্তু যারা নতুন ব্লগার তারা তাদের ব্লগকে কীভাবে জনপ্রিয় করবেন সেটা জানেন না। অথবা সঠিকভাবে কাজের ধাপগুলো জানেন না। একটি ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করার জন্য নানান কর্মসূচি হাতে নেয়া যেতে পারে। একটি ব্লগ যদি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় তাহলে ব্লগের পাঠক্ও বৃদ্ধি পায়। আমি এখন আপনাদের ব্লগ এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু টিপস সম্পর্কে জানাবো। 

১. ইউনিক লেখাঃ
আপনার ব্লগে সম্পূর্ণ ইউনিক পোষ্ট করুন। ইউনিক বলতে সম্পূর্ণ আপনার নিচের ভাষায়। একজন পরিপূর্ণ ব্লগার
এর মুল কাজই হলো ইউনিক পোষ্ট লেখা। এটা ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পোষ্টের লেখার মানের উপর ভিত্তি করে ভিজিটর ব্লগটিতে আসে। যদি ব্লগের লেখার মান ভালো হয়, কিন্তু পাঠকগণ লেখাটি পরিপূর্ণ ভালো ভাবে বুঝতে না পারে তাহলে এটা সেই ব্লগার এবং ব্লগের অসাফল্য! তাই একজন ব্লগারের উচিত তার পোষ্টির লেখার মানের দিকে লক্ষ্য রাখা এবং লেখাটি যত সম্ভব পাঠকদের জন্য সহজলভ্য করার চেষ্টা করা।



২. কপি পেষ্ট বর্জনঃ
কপি পেষ্ট খুবই খারাপ অভ্যাস। কপি পেষ্ট একটা ব্লগের জনপ্রিয়তা নষ্ট করে। এবং ব্লগের উপর পাঠকদের ভালোবাসা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। কপি পেষ্ট করলে ব্লগার অসন্মানিত হতে পারেন। সত্যি বলতে কপি পেষ্ট এতটাই খারাপ যে ব্লগের ইউনিকতা নষ্ট করে। পোষ্টের লেখার মান নষ্ট করে। কিন্তু যদি কপি পেষ্ট করা অত্যান্ত জরুরী হয়ে পড়ে তাহলে পোষ্টে লেখকের নাম এবং পোষ্টির সুত্র প্রদর্শন করানো উচিত। অন্তত্য এতে করে পোষ্টের লেখার মান নষ্ট হয় না।


৩. সার্চ ইঞ্জিননে ওয়েব সাইট সাবমিটঃ
আমরা সবাই জানি একটি ব্লগের ভিজিটরের প্রায় ১০ শতাংশ আসে সার্চ ইঞ্জিন থেকে। কারণ ভিজিটর যখন সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু খোজার জন্য সার্চ দেয় তখন সার্চ ইঞ্জিন থেকে তারা ঐ বিষয়ে নানান ওয়েব সাইটের লিং পায়। তারা তখন সেই সব ওয়েব সাইটে ভ্রমন করে। যদি ওখানে আপনার ব্লগের লিংটি থাকে তাহলে ভেবে দেখুন আপনি কত ভিজিটরই না পাবেন। এজন্য আপনারা আপনার ব্লগের এড্রেসটি খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিন এ যুক্ত করে দিতে পারেন।


৪. অন্য ওয়েব সাইটে লিং শেয়ারঃ
ইন্টারনেটে অনেক বড় বড় ওয়েব সাইট আছে। যেখানে প্রতি দিন ৩ থেকে ৫ হাজার পাঠক নিয়মিত পোষ্ট পড়েন এবং লিখেন। আপনারা সেই সব ওয়েব সাইটে আপনার বিভিন্ন চিন্তাধারা শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার ব্লগের প্রচার করতে পারেন। এতে একটি ব্লগের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।


৫. বিজ্ঞাপনঃ
আপনার ব্লগের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য ইন্টারনেটে আপনার ব্লগের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এছাড়াও পত্রিকা বা মেগাজিন এ আপনার ব্লগের বিজ্ঞাপন করাতে পারেন। অবশ্য এতে কিছু টাকা খরচ হতে পারে। কিন্তু এতে করে পাঠক বৃদ্ধি পায় আর তার সাথে সাথে বৃদ্ধি পায় ব্লগটির জনপ্রিয়তা।


৬. কুইজঃ
আপনারা আপনার ব্লগে কুইজের ব্যবস্থা করতে পারেন। যেখানে পাঠকগন কুইজের সঠিক উত্তর দিয়ে বিভিন্ন উপহার পেতে পারে। এতে করে শুধু মাত্র কুইজে অংশ গ্রহন করার জন্যও আপনার ব্লগে ভিজিটর আসতে পারে। ফলে জনপ্রিয়তা খুবই দ্রুত বৃদ্ধি পায়।


৭. গোছানো ব্লগ তৈরীকরনঃ
আপনার ব্লগটিকে পরিস্কার পরিছন্ন করে তৈরী করা চেষ্টা করুন। এবং সব সময় পরিস্কার পরিছন্ন ভাবে পোষ্ট গুলো প্রকাশ করুন। আপনার ব্লগটিকে এমন ভাবে সাজাবেন এবং তৈরী করবেন যেন পাঠক খুব সহজেই তার প্রত্যাশিত পোস্টটি পেয়ে যায়। এতে করে ব্লগটি সম্পর্কে পাঠকের একটা মৌলিক ধারণা আসবে।


৮. দ্রুত পেজ লোডঃ
সব সময় আপনার ওয়েব সাইট এর লোড হওয়ার গতি সম্পর্কে পুরো সচেতন থাকবেন। সব সময় চেষ্টা করবেন ব্লগটি যেন তারিতারি লোড হয়। কেননা আমার জানা মতে যে সব ব্লগ গুলো দ্রুত লোড হয় সেই সব ব্লগের পাঠক সংখ্যা অনেক বেশি।


৯. পেইজ রেঙ্ক , ভিজিটর কাউন্টার এবং জরিপঃ
পেইজ রেঙ্ক হলো ওয়েব সাইটের জনপ্রিততার একটা মিটার। যেটা দিয়ে ওয়েব সাইটের জনপ্রিয়তা বোঝা যায়। আপনারা ব্লগে ভিজিটর কাউন্টারও যোগ করতে পারেন, ব্লগটিতে কতজন পাঠক এসেছে জানার জন্য। এজন্য আপনারা এই পোষ্টা দেখতে পারেন। এছাড়াও ব্লগের পাঠকদের কাছ থেকে বিভিন্ন মতামত পাওয়ার জন্য প্রতি মাসে একবার করে জরিপ তৈরী করে নিতে পারেন।


আজ এই পর্যন্তই। ইনসাআল্লাহ আগামী পর্বে আবার এ বিষয়ে আলোচনা করবো। কাজে লাগলে কমেন্টস করতে ভুলবেন না যেন।
-মোঃ আব্দুর রহিম

0 comments:

Post a Comment