প্রায় অন্ধকার, স্বল্প আলোয় বিড়ালের চোখ জ্বলজ্বল করে। মনে হয়, চোখের জ্যোতিতে সে অন্ধকারে দেখতে পারে। আসলে পারে না। বিড়ালের চোখের স্নায়ুর চারপাশে একধরনের কোষের স্তরে আলো প্রতিফলিত হয় বলেই জ্বলজ্বল। বিড়ালের মতো বাঘ, সিংহ প্রভৃতি প্রাণীও স্বল্প আলোয় দেখতে পারে। এরা নিশাচর। এদের শারীরিক গঠন রাতে শিকারের উপযোগী। তাদের চোখ দুটি মুখের সামনের দিকে আমাদের চোখের চেয়ে একটু বেশি বাড়ানো থাকে। এর ফলে ওরা চোখের দুপাশের প্রসারিত এলাকা দেখতে পারে, বিশেষত এক চোখের দৃশ্যমান অংশ অপর চোখের দৃশ্যমান অংশের ওপর আপতিত হতে পারে। এ কারণে বিড়ালের পক্ষে পলায়নপর ইঁদুরকে দেখে ফেলার সম্ভাবনা দ্বিগুণ হয়ে যায়। বিড়ালের চোখের মণি অতিবেগুনি রশ্মি সহজেই অনুভব করে, ফলে মানুষ দেখে না এমন জিনিসও ওরা দেখে। বিড়ালের চোখের দুটি পর্দা সূর্যের প্রখর আলো থেকে তার অক্ষিপট রক্ষা করে। দিনের বেলা ওগুলো টেনে দিলে বিড়ালের দৃষ্টি সংকীর্ণ হয়ে আসে। তাই বলা যায়, বিড়ালের দৃষ্টিশক্তি নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে। দিনের উজ্জ্বল আলোয় বিড়াল ভালো দেখে না আর ঘুটঘুটে অন্ধকারে মোটেই দেখে না। শুধু হালকা আলোয় ওরা মানুষের চেয়ে ভালো দেখে।
সূত্র : পত্রিকা
1 comments:
Thank u
Post a Comment