খুশকি মুক্ত চুল পেতে যা করণীয়!

আসসালামুআলাইকুম। আশা করি সবাই মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও করুণায় ভালোই আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় ও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। প্রথমেই একটু বক বক করে নেই। নয়তো আবার পরে আফসোস করবো এই বলে যে, আহারে! সবাইকে তো টিপস শেয়ার করলাম কিন্তু মনের কথাটা মনেই থেকে গেল? তাহলে ব্লগইন করে মজাটাই বা কি হলো বলুন? তো আজ আমার শরীরটা বেশ ভালো তবে মনটা একটু খারাপ! কেন জানেন?...    তারিখঃ ০৭/০৪/২০১২  |  সবটুকু পড়ুন »

Thursday, May 24, 2012

গরমে সুস্থ থাকার উপায় !

গরমে সবাই যেসব সমস্যার সম্মুখীন হন, তার মধ্যে পানি স্বল্পতা (ডিহাইড্রেশন) অন্যতম। এ ছাড়া আমাশয়-জন্ডিসসহ বিভিন্ন ধরনের পেটের অসুখ তো রয়েছেই। এ সময় শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সবারই প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। দিনে ৬-৮ গ্লাস তো বটেই, এর বেশি হলেও ক্ষতি নেই! তবে এ সময় রাস্তাঘাটের পানীয় এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। বাইরে বের হতে একটি ছোট ব্যাগে অবশ্যই পানির বোতল ও ছাতা রাখা জরুরি। ছাতা শুধু বৃষ্টি থেকে বাঁচতেই নয়, সূর্যের প্রখর খরতাপ থেকে ত্বক পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।


আম, কাঁঠাল, বেল, তরমুজ, বাঙ্গি, ডাব এসবই গ্রীষ্মকালীন ফল যা পানির ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি শরীরে খনিজ লবণের অভাবও দূর করে। যেমন বেলে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকায় কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর হয়। প্রতিদিনই খাবারের তালিকায় ভিটামিন সির আধার লেবু যোগ করা উচিত। লেবুর রস ও মধু মেশানো উষ্ণ গরম পানিতে দিন শুরু করলে শরীর সারা দিনই সজীব থাকে। শরীরের অবসন্নতা দূর করতেও লেবুর শরবতের জুড়ি নেই! বীটমূল শরীরে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক ও ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করে। এ ছাড়া বীটমূলে রয়েছে ভিটামিন বি৩, বি৬, সি ও বিটা ক্যারোটিন। ফলের রাজা ‘আম’। অনেকেই মনে করেন আম খেলে পেট গরম হয়। কিন্তু এ ধারণা একদমই ঠিক নয়। ফ্যাটমুক্ত এ আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি ও তন্তু, যা শরীরকে দীর্ঘ সময়ের জন্য তরতাজা রাখতে সক্ষম। ভিটামিন ‘এ’-র আধার আম দিতে পারে জেল্লাদার ত্বক। এ ছাড়া ভিটামিন ‘এ’ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বককে সময়ের আগেই বুড়িয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়। আমেও রয়েছে শরীরের অতিপ্রয়োজনীয় ভিটামিন সি, যা হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে। কাঁচা আমের শরবত খেতে সুস্বাদু, শরীরকে সুস্থ রাখার জন্যও ভালো। তাই যত পারা যায় আম খেলে ভালো। গরমকে প্রতিরোধ করতে ডাবের পানিও মোক্ষম অস্ত্র। প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রলাইটের উত্স এ ডাবের পানি। ডাবের পানি উজ্জ্বল ত্বকের জন্য দরকার। তাই এ গরমে প্রতিদিন ডাবের পানি পান করা উচিত। শসাও গ্রীষ্মের অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি সবজি। ক্যালোরিশূন্য শসা শরীরের ইউরিক এসিড দূর করতে সাহায্য করে। এটি গরমে শরীরে উদ্ভূত নানা প্রদাহ দূর করতে সক্ষম। শসা, গাজর, বীট, লঙ্কা দিয়ে তৈরি সালাদ খেতে কার না ভালো লাগে! গরমে টক দইও খুব ভালো একটি খাবার। টক দই শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার এক মোক্ষম উপাদান। এ গরমে কম তেল ও মসলাযুক্ত রান্না খাবার খাওয়া উচিত। এ মৌসুমে মিষ্টি কুমড়া, লাউ, সজিনা ডাটা, পুঁই শাক, পাট শাকসহ আরও অনেক সবজি পাওয়া যায়। তার মধ্যে লাউ ও সজিনা ডাটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপযোগী দুটি সবজি। সজিনা ডাটা হার্টের জন্য খুবই ভালো। দুপুরের আহারে অবশ্যই অবশ্যই তিতা করলা বা উচ্ছে রাখতে হবে। তিতা শরীরে রোগ প্রতিষেধক হিসেবে তো বটেই, ত্বককে নানান প্রদাহের হাত থেকে বাঁচায়।

0 comments:

Post a Comment