খুশকি মুক্ত চুল পেতে যা করণীয়!

আসসালামুআলাইকুম। আশা করি সবাই মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও করুণায় ভালোই আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় ও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। প্রথমেই একটু বক বক করে নেই। নয়তো আবার পরে আফসোস করবো এই বলে যে, আহারে! সবাইকে তো টিপস শেয়ার করলাম কিন্তু মনের কথাটা মনেই থেকে গেল? তাহলে ব্লগইন করে মজাটাই বা কি হলো বলুন? তো আজ আমার শরীরটা বেশ ভালো তবে মনটা একটু খারাপ! কেন জানেন?...    তারিখঃ ০৭/০৪/২০১২  |  সবটুকু পড়ুন »

Saturday, August 4, 2012

স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়ঃ লেবুর শরবত !

লেবু হল সাইট্রাস লিমন (Citrus lemon) সাধারণ নাম। বংশবৃদ্ধিকারী টিস্যু আবৃতবীজী লেবুর বীজকে ঘিরে রাখে। লেবু রান্না করে বা রান্না না করে - উভয়ভাবেই খাওয়া হয়। ফল এর কদর মূলত রসের জন্যেই , যদিও এর শাঁস ও খোসাও ব্যবহৃত হয়, প্রধানত রান্না ও বেকারির কাজে। লেবুর রসে প্রায় ৫ শতাংশ (প্রতি লিটারে ০.৩ মোলের কাছাকাছি) সাইট্রিক এসিড থাকে যার কারণে এর স্বাদ টক হয় এবং pH ২-৩ হয়।


লেবুর অনেক গুণ। লেবুর শরবত একটি আদর্শ স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়। মাত্র একটি মাঝারি আকৃতির লেবু থেকে চল্লিশ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড পাওয়া যা একজন মানুষের দৈনিক চাহিদার পূরণের জন্য যথেষ্ট। ভিটামিন ‘সি’ দেহের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে বা ক্ষত হলে দ্রুতগতিতে কোলাজেন কোষ উপাদান তৈরি করে ক্ষত নিরাময়েও সাহায্য করে এই ভিটামিন ‘সি’। লেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাইট্রিক এসিড বিদ্যমান যা ক্যালসিয়াম নির্গমন হ্রাস করে পাথুরী রোগ প্রতিহত করতে পারে। লেবুর খোসার ভেতরের অংশে ‘রুটিন’ নামের বিশেষ ফ্ল্যাভানয়েড উপাদান আছে যা শিরা এবং রক্তজালিকার প্রাচীরকে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং সুরক্ষা দেয়। ফলে স্বভাবতই হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। লেবুর অন্যান্য ব্যবহারও কম নয়। রান্নায় বা আহারে লেবুর ব্যবহার বিজ্ঞানসম্মতভাবেই স্বাস্থ্যপ্রদ। ত্বক বা রূপচর্চায় লেবুর ব্যবহার ঐতিহ্যগত ভাবেই সুপ্রচলিত। বয়সজনিত মুখের স্পট বা দাগ সারাতে লেবুর রস যথেষ্ট কার্যকরী। লেবুর রস ব্যবহারে মুখের ব্রণও দ্রুত সারে। বাজারের ভেজাল মিশ্রিত পানীয় না খেয়ে টাটকা লেবুর রসের সাথে সামান্য চিনি বা মধু মিশিয়ে লেমোনেড তৈরি করা হয় যা একই সাথে তৃষ্ণা মেটায়।



লেবু শুধু খাদ্য হিসেবেই নয়, স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রেও এর নানা প্রকার উপকারী দিক দেখা যায়। এর প্রভাবে যেমন আমাদের পুষ্টি পরিপূর্ণ হয় তেমনি আমাদের ত্বকের ওপরে বা সৌন্দর্যের দিকটিও এর ওপরে নির্ভর করে।
লেবু টক, মিষ্টি নানারকম স্বাদের হয়ে থাকে। ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকার জন্য লেবু আমাদের স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য উভয় দিকেই বেশ কার্যকরী প্রভাব বিস্তার করে থাকে। তাই—

— ঘুম থেকে উঠে লেবুর পানি খেলে পেট পরিষ্কার হয়।

— যদি কারও বমির সমস্যা থাকে তবে লেবু সেক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে।

— লেবুর পানি পান করলে শারীরিক দিক থেকে আপনি তরতাজা অনুভব করবেন।

— লেবু খেলে শারীরিক অস্বস্তি দূর হতে পারে।

— মোটা হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারেন নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস করলে।

— রক্ত পরিশুদ্ধ করতে লেবু খুব উপকারী।

— লেবু লিভারের বিকৃতির সমস্যার সমাধান করে থাকে।

— লেবুর পানি দিয়ে নিয়মিত কুলকুচি করলে দাঁতের সমস্যার সমাধান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধও দূর হয়।

— দুধের মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগালে তা ত্বক পরিষ্কার, টানটান এবং মসৃণ করে তোলে। এটি ত্বক পরিষ্কার করতেও ব্যবহার করা যায়।

—অর্ধেক লেবু এবং এক মুঠো খাবার সোডা মিশিয়ে তা বাসন মাজার কাজে বা কোন অপরিষ্কার নল ইত্যাদি পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

— প্লাস্টিক বা হাল্কা রংয়ের বাসনে খাবারের দাগ ধরে গেলে সেখানে লেবু ঘষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর তা ধুয়ে নিলে বাসনে আর খাবারের দাগ লেগে থাকবে না।

0 comments:

Post a Comment