স্বাস্থ্যকর সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য মায়েদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সেদিকেই লক্ষ্য রেখে কিছু টিপস দেয়া হলো :
- আপনি প্রেগন্যান্সি প্রাপ্তির জন্য চিন্তা-ভাবনা করলে গর্ভধারণের আগে পরিকল্পনা করে নিজেকে সম্পূর্ণ তৈরি করে নিন। কখনও কখনও আপনার এমন যেন মনে না হয়, আপনি প্রেগন্যান্ট। আপনার চিন্তা-ভাবনার প্রভাব গর্ভজাত শিশুর ওপর ভীষণভাবে পড়ে। শেষ কবে ঋতুচক্র হয়েছিল তার ওপরও লক্ষ্য রাখুন। নয়তো সন্তানের জন্মের তারিখও সঠিকভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না।
- শিশুর স্বাস্থ্য পূর্ণরূপে মা-বাবার স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে। প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে মা যা আহার গ্রহণ করবে, তা শিশুর বিকাশে সহায়ক হয়। তাই ভোজনে ভিটামিন ‘সি’, ফাইবার্স, আয়রন, ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাদ্য অবশ্যই নেয়া উচিত। বেশি তেল বা ঘি দিয়ে রান্না খাবার খেলে শিশু স্বাস্থ্যবান হয়, একথা সম্পূর্ণ ভুল। সুতরাং এমন ভোজন নেয়া উচিত যা পুষ্টিকর, যেমন—তাজা ফল, সবুজ সবজি, দুধ, দই ইত্যাদি উপযোগী খাবার। আর অকারণে ওষুধ সেবনের কোনো প্রয়োজন নেই।
- যদি আপনি অন্য কোনো রকমের ওষুধ সেবন করেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হবে গর্ভধারণের আগেই ওষুধ সেবন বন্ধ করা। এতে আপনার বডি স্ট্যাটাস নরমাল থাকবে। আর শিশুর কোনো রকমের সমস্যা হবে না।
- ধূমপান ও ড্রিঙ্ক করলে গর্ভজাত শিশুর পক্ষে হানিকারক হয়। যদি আপনি বা আপনার সঙ্গী ধূমপান করেন তাহলে গর্ভধারণ করার আগেই আপনাদের ধূমপান বন্ধ করতে হবে। যেসব মহিলা ধূমপান করেন তারা সময়ের আগেই সামান্য থেকে কম ওজনের শিশুর জন্ম দেন। ধূমপানের জন্য কম ওজনেরও সন্তানের জন্ম হয় বা মৃত শিশুরও জন্ম হতে পারে।
- যদি আপনি কোনো রাসায়নিক সংস্থা বা এক্সরেসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকেন তাহলে এর বিষজাতীয় ধোঁয়া আপনার সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক। এসব স্থান থেকে নিজেকে দূরে রাখা জরুরি।
- মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে কম্পিউটারের কুপ্রভাব গর্ভজাত শিশুর ওপরে খুব বেশিভাবে পড়ে। বর্তমান ব্যস্ত যুগে মহিলারা আইটি সেক্টরে কর্মরত। এতে কোনো সমস্যা হয় না।
- শিশুর জন্মের আগে তার সুরক্ষার জন্য ব্লাড টেস্ট অবশ্যই করাবেন। এইচআইভি টেস্ট করানোও জরুরি।
0 comments:
Post a Comment