মাইগ্রেন এক ধরনের মাথাব্যথা যা অত্যন্ত কষ্টদায়ক। শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ লোক এই ধরনের মাথাব্যথায় ভুগে থাকেন। যাদের মাইগ্রেন নেই তারা ধারণাও করতে পারবেন না কতটা কষ্টদায়ক এই রোগ। মাইগ্রেন কথাটির অর্থ আধা মাথাব্যথা।
মাইগ্রেন-এর কারণ :
মাইগ্রেন মাথাব্যথার সঠিক কারণ আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, বলা হয়ে থাকে যে, ব্রেনের ভেতরে রক্তবাহীনালীসমূহ কোনো কারণে সংকুচিত হয়। এটা হলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের তারতম্যের জন্যই এই প্রচণ্ড ধপ ধপ করে মাথাব্যথা শুরু হয়। বমি না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যথা কমে না। মাইগ্রেন মাথাব্যথা একবার শুরু হলে কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত একাধারে চলতে পারে। এমনকি, স্বাভাবিক কাজ বা পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।মাইগ্রেন হওয়ার আগে :
যাদের মাইগ্রেন ব্যথা আছে, তাদের অনেকগুলো পূর্বাভাস ব্যথা ওঠার আগে অনুভূত হতে পারে। টেনশন, পরীক্ষা বা চাকরির অত্যন্ত চাপ, মানসিক অশান্তি, বাস বা গাড়িতে অনেকক্ষণ যাত্রা করা, মহিলাদের বেশিক্ষণ গরমে রান্না ঘরে থাকা, মাসিকের সময় ইত্যাদি নানাবিধ কারণে মাইগ্রেন শুরু হতে পারে। সাধারণ মাইগ্রেন হলে সাধারণত খুব বেশি মাথাব্যথা হয় না। বমি ভাব থাকতে পারে। কখনও এক বা দুই সপ্তাহ প্রচণ্ড মাথাব্যথা থাকে এবং রোগী ব্যথায় ছটফট করেন বা ঘুম থেকে সকালে উঠেই ব্যথা শুরু হয়।মাইগ্রেন রোগের চিকিৎসা :
প্রথমেই বুঝতে হবে যে, কারো মাইগ্রেন থাকলে কোনো ওষুধে এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব নয়। যাদের মাইগ্রেন মাথাব্যথা থাকে, সারাজীবনই কোনো না কোনো সময়ে কোনো না কোনো কারণে এই মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। সাধারণ মাইগ্রেন হলে সাধারণত ব্যথার ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল খেলেই কাজ হয়। যদি মাইগ্রেন বারবার হতে থাকে এবং কাজে বাধা সৃষ্টি করে, তবে কিছু শক্ত ব্যথানাশক ওষুধ এবং এর সাথে যাতে বারবার ব্যথা ফিরে না আসে সে জন্য কিছু প্রতিষেধক ওষুধ দেওয়া হয়। কখনও কখনও সামান্য চশমার পাওয়ার দিতে হয়। মাইগ্রেন কখনও অবহেলা করা উচিত নয়। মাথা ব্যথা হলে অবহেলা না করে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
0 comments:
Post a Comment