খুশকি মুক্ত চুল পেতে যা করণীয়!

আসসালামুআলাইকুম। আশা করি সবাই মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও করুণায় ভালোই আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় ও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। প্রথমেই একটু বক বক করে নেই। নয়তো আবার পরে আফসোস করবো এই বলে যে, আহারে! সবাইকে তো টিপস শেয়ার করলাম কিন্তু মনের কথাটা মনেই থেকে গেল? তাহলে ব্লগইন করে মজাটাই বা কি হলো বলুন? তো আজ আমার শরীরটা বেশ ভালো তবে মনটা একটু খারাপ! কেন জানেন?...    তারিখঃ ০৭/০৪/২০১২  |  সবটুকু পড়ুন »

Wednesday, May 2, 2012

মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত রোবট !

undefined
জেমস ক্যামেরনের অ্যাভাটার ছবির ঘটনাকে অনেকটাই বাস্তবে রূপ দিতে যাচ্ছেন একদল বিজ্ঞানী। তারা জানিয়েছেন, কেবল মস্তিষ্কের সাহায্যেই দূরবর্তী স্থানে অবস্থানরত রোবট নিয়ন্ত্রণ করার প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন তারা। খবর ইয়াহুর।


সুইস বিজ্ঞানীরা আরো জানিয়েছেন, চিন্তা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই রোবট সবচেয়ে বেশি কাজে আসবে নড়াচড়ায় অক্ষম বা প্যারালাইজড রোগীদের জন্য যারা নিজেরা এক স্থানে বসে থেকে তাদের হোস্ট রোবটের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে পারবেন।

ইয়াহু নিউজ জানিয়েছে, এর আগেও এ জাতীয় রোবট তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সেসব ক্ষেত্রে রোবট চালানোর জন্য চালককে নড়াচড়ায় সক্ষম হতে হয় অথবা ব্রেইন ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে রোবটকে নির্দেশ পাঠাতে হয়। এবারই প্রথম নড়াচড়ায় অক্ষম ব্যক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোবট আবিষ্কৃত হলো।

সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে বিজ্ঞানীদের একটি দল দেখিয়েছেন কীভাবে সাধারণ একটি ক্যাপ বা টুপি ব্যবহার করে মার্ক-অ্যান্ডর নামের এক রোগী প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি রোবট নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছেন। মার্ক পড়ে গিয়ে পা ও আঙুল নাড়ানোর ক্ষমতা হারিয়েছেন। তবে তিনি কেবল আঙুল নাড়ানোর চিন্তা করেছেন। তার এই চিন্তা বা ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালটিই হাসপাতালের একটি ল্যাপটপের সাহায্যে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অন্য একটি শহরের রোবটকে তার আঙুল নাড়ানোর নির্দেশ পাঠিয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, আঙুল নাড়ানোর কথা চিন্তা করা খুব একটা কঠিন কিছু ছিল না। তবে কোনো কারণে ব্যাথা থাকলে মনোযোগ সৃষ্টি করা একটু কঠিন হয়ে পড়ে।

কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের মস্তিষ্ক একইসঙ্গে অনেক কিছু চিন্তা করতে সক্ষম। আবার এসব বিষয়ের চিন্তাভাবনা নিজস্ব গতিতে চালাতেও সক্ষম মানুষ। কিন্তু রোবটকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এটিই এখন তাদের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ। কেননা, রোবটকে দিয়ে কোনো কাজ করানোর সময় মাথায় অন্য কোনো চিন্তা আসলেই নির্দেশে বাধা পড়বে এবং রোবট হয়তো দ্বিধায় পড়ে যাবে।

বিজ্ঞানীদের ওই টিমের প্রধান জোসে মিলান বলেছেন, আগে হোক বা পরে হোক, এক সময় মনোযোগ বিঘ্নিত হবেই। আর তখনই সিগন্যাল ডিগ্রেড হয়ে যাবে। এ ছাড়াও ব্যাকগ্রাউন্ডে বা আশপাশের আওয়াজও সিগন্যালে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

তবে ছোটখাটো সমস্যা থাকলেও অনেকেই ধারণা করছেন, অচিরেই হয়তো অ্যাভাটার বা সারোগেইটস নামের হলিউড মুভির ঘটনা বাস্তব হয়ে উঠতে পারে।

0 comments:

Post a Comment