বিসমিল্লাহির রহমানীর রাহীম
আশা করি সবাই ভালো আছেন। বেশ অনেকদিন ধরে অনলাইনে আসতে পারছিলাম না, পারিবারিক সমস্যার কারণে। আজ দীর্ঘ দেড় মাস পর অনলাইনে আসলাম। অনলাইনে এসে বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে লেখা শুরু করে দিলাম। আমি আজকে যে বিষয়ে লিখছি, সেটা হলো "দাওয়াই" সম্পর্কে। আশা করি আপনারা সবাই "দাওয়াই" সম্পর্কে অবগত আছেন। তবুও যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি, সাধারণত ঔষুধকে বাংলায় "দাওয়াই" বলা হয়। যাকে ইংরেজীতে ম্যাডিসিন (Medicine) বলা হয়। পৃথিবীতে আবিস্কৃত বেশ কিছু ঔষুধ পৃথিবীর দিনই বদলে দিয়েছে। এ রকমই কিছু ঔষুধ সম্পর্কে আজ আমি আলোচনা করবো।
আফিমঃ
আফিমের নাম শোনেননি এমন কে আছেন? রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আফিম একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষুধ হিসেবে পরিচিত। মানসিক অস্থিরতা ও বেদনানাশক ঔষুধ হিসেবে এখনও বহুলভাবে ব্যবহার হচ্ছে।গুটিবসন্ত টিকাঃ
অ্যাডওয়ার্ড জেনার ১৭৯৮ সালে স্যাঁত-স্যাঁতে অঞ্চলে গো-বসন্ত দূর করার জন্য প্রথম টিকা তৈরী করেন। পরে এই টিকা গুটিবসন্তের প্রতিষেধক হিসেব ব্যবহার শুরু হয়। ১৮৫৫ সালে মান্ট্রিয়েলে হঠাৎ ট্রেন-ভ্রমনকারীদের মধ্যে গুটিবসন্ত মহামারীরুপে দেখা দিলে আক্রান্ত যাত্রীদের দ্রুত এই প্রতিষেধক দেওয়া হয়।স্যালভারসানঃ
ইনসুলিনঃ
পেনিসিলিনঃ
পেনিসিলিন আবিস্কৃত হয় ১৯২৮ সালে, কিন্তু তখন এটিকে হেলাফেলা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আবার নতুন করে এই প্রতিষেধকটি রোগসংক্রমিত একটি রেঞ্জের সেনাসদস্যদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। তারপর থেকে পেনিসিলিন ব্যবহার হচ্ছে নানান রোগের চিকিৎসায়।ইনোভিডঃ
১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ইনোভিড নামের একটি জন্মনিরোধক ঔষুধ আবিস্কৃত হয়েছিল। আর এই বড়ির উদ্ভবের ফলে ঘটে যায় এক বিপ্লব। যার প্রভাবে কোটি কোটি মানুষ বেচেঁ যায়। ১৯৭০ সালে এটা যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা সমস্যা দূর করার কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটা সে সময় অনেক স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞ এটির বিরোধিতা করেছিলেন। বর্তমান সময়ে জন্ম নিয়ন্ত্রনের জন্য এটাই সবচেয়ে উন্নত পদ্ধতি।
0 comments:
Post a Comment