খুশকি মুক্ত চুল পেতে যা করণীয়!

আসসালামুআলাইকুম। আশা করি সবাই মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও করুণায় ভালোই আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় ও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। প্রথমেই একটু বক বক করে নেই। নয়তো আবার পরে আফসোস করবো এই বলে যে, আহারে! সবাইকে তো টিপস শেয়ার করলাম কিন্তু মনের কথাটা মনেই থেকে গেল? তাহলে ব্লগইন করে মজাটাই বা কি হলো বলুন? তো আজ আমার শরীরটা বেশ ভালো তবে মনটা একটু খারাপ! কেন জানেন?...    তারিখঃ ০৭/০৪/২০১২  |  সবটুকু পড়ুন »

Wednesday, May 16, 2012

গ্রহাণুতে খনিজ উপাদানের খোঁজে মার্কিন বিজ্ঞানীরা !

undefined




পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রায় ৯ হাজার গ্রহাণু বা অ্যাস্টেরয়েড। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার পাঁচশ’টিতে চাইলে যেতে পারবে মানুষ। মূল্যবান সব খনিজ উপাদানে ভরা এসব গ্রহাণু। সেগুলোর খোঁজেই এবার কাজ শুরু করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা।
৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের ছোট্ট একটি গ্রহাণুতে যে পরিমাণ প্লাটিনাম থাকতে পারে তার দাম অর্থের হিসাবে প্রায় ২৫ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাত্ প্রায় দুই লাখ চার হাজার থেকে চার লাখ আট হাজার কোটি টাকা।
এই একটিমাত্র পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে গ্রহাণুগুলো ঠিক কতটা মূল্যবান হতে পারে। আর মানুষের কাজ যেখানে সম্পদ খুঁজে বেড়ানো, সেখানে পৃথিবীর বাইরের এই খনিগুলোতে যে এখনও বিজ্ঞানীদের পা পড়েনি, সেটাই আশ্চর্যের। তবে এর কারণটা বোধ করি সবার জানা, প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির অভাব।
তবে এবার সেই অভাব দূর করতে কাজ শুরু করেছে মার্কিন কোম্পানি ‘প্লানেটরি রিসোর্সেস’। প্রায় তিন বছর ধরে কাজ করছে তারা। সম্প্রতি তারা জানিয়েছে, আগামী দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে মহাকাশে একটি টেলিস্কোপ পাঠাবে, যেটা খনিজ সম্পদে ভরপুর গ্রহাণু খুঁজে বের করবে। এছাড়া তাদের আরেকটি পরিকল্পনা হচ্ছে, মহাকাশে খনিজ আহরণে কাজ করার জন্য কম খরচের রোবটচালিত যান তৈরি করা। কেননা সেটা না হলে বর্তমানে একটি মহাকাশ যান পরিচালনা করতে যে খরচ তা দিয়ে খনিজ সংগ্রহ অভিযান লাভজনক করা যাবে না।

এসব গ্রহাণুতে প্লাটিনাম ছাড়াও রয়েছে লোহা, নিকেল, সালফার বা গন্ধক। রয়েছে আরও সব নাম না জানা খনিজ পদার্থ, যেগুলো দিয়ে সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা যাবে। এছাড়া গ্রহাণুতে থাকা পানি দিয়ে তরল অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন তৈরি করা যেতে পারে, যেটা রকেটের জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে। এটা সম্ভব হলে মহাকাশ গবেষণার কাজে যে যান বা কৃত্রিম উপগ্রহগুলো কাজ করছে, সেগুলোর জ্বালানি সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে অনেক বিশেষজ্ঞ প্লানেটরি রিসোর্সেসের এই প্রকল্পের সফলতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কিন্তু প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত যে, আজ থেকে ১০ বছর পর তারা সফলতার মুখ দেখতে পাবেন। সূত্র ডিডব্লিউ।

0 comments:

Post a Comment