খুশকি মুক্ত চুল পেতে যা করণীয়!

আসসালামুআলাইকুম। আশা করি সবাই মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও করুণায় ভালোই আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় ও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। প্রথমেই একটু বক বক করে নেই। নয়তো আবার পরে আফসোস করবো এই বলে যে, আহারে! সবাইকে তো টিপস শেয়ার করলাম কিন্তু মনের কথাটা মনেই থেকে গেল? তাহলে ব্লগইন করে মজাটাই বা কি হলো বলুন? তো আজ আমার শরীরটা বেশ ভালো তবে মনটা একটু খারাপ! কেন জানেন?...    তারিখঃ ০৭/০৪/২০১২  |  সবটুকু পড়ুন »

Wednesday, May 16, 2012

ডাইনোসরদের আরেকটি জাতের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা !

undefined

চীনে ডাইনোসরদের আরেকটি জাতের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আকারের দিক থেকে এদের টি. রেক্সদের জ্ঞাতি ভাই-ই বলা চলে। মাংসাশী এ প্রজাতিটি উচ্চতায় ১৩ ফুট ও লম্বায় ৩৬ ফুট পর্যন্ত ছিল। ওজন ১২ হাজার পাউন্ড পর্যন্তও হতো।
ডাইনোসরদের নতুন প্রজাতিটির উদ্ভাবক আয়ারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ডাবলিনের বিখ্যাত গবেষক ডেভিড হুন। তিনি ও তার দল চীনে এ প্রজাতিটির সন্ধান পান। পরে তিনি আবিষ্কারের বিষয়টি ১৩৫ থেকে ৬৩ মিলিয়ন বছরের আগের সরীসৃপজাতীয় প্রাণী নিয়ে গবেষণাধর্মী জার্নাল ক্রিটাসিয়াস রিসার্সে প্রকাশ করেন। জার্নালে তিনি বলেন, ডাইনোসরের নতুন প্রজাতিটি আকারের দিক থেকে টি. রেক্সদের কাছাকাছি। তিনি এর বৈজ্ঞানিক নাম দিয়েছেন Zhuchengtyrannaus magnus, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় জুহুচেংয়ের স্বেচ্ছাচারী শাসক। সামনের পা খর্বাকার হওয়ায় পেছনের পায়ে ভর দিয়েই এদের দৌড়াতে হতো। বিশ্বের যেসব জায়গায় ডাইনোসরদের অস্থির সন্ধান পাওয়া গেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে যে জায়গায় সেই পূর্ব চীনের স্যাংডং প্রদেশের জুহুচেং শহরেই পাওয়া গেছে নতুন প্রজাতির সন্ধান। আবাসস্থলের নামানুসারেই এর নাম দেয়া হয়েছে জুহুচেংয়ের শাসক। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এ জুহুচেংয়েই ছিল একসময় প্লাবনভূমি যেখানে একসঙ্গে অন্তত হাজারখানেক ডাইনোসর গোসল করত।
বিজ্ঞানী ডেভিড হুনের ডাইনোসরদের এ নতুন জাতের উদ্ভাবন জীবাশ্মবিদদের মধ্যে বেশ ভালোই সাড়া ফেলেছে বলা চলে। এ বিষয়ে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত বিখ্যাত জাদুঘর ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের জীবাশ্ম বিভাগের কিউরেটর মার্ক নরেল বলেছেন, এটা সত্যি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। তিনি বলেন, জুহুচেং সত্যিই এক বিস্ময়কর জায়গা। আমরা কেবল সবকিছু বুঝে ওঠার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি। তা সত্ত্বেও এটি আমাদের ভবিষ্যতের পথচলার (গবেষণার) রসদ জোগান দিতে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানী হুনের ধারণা, জুহুচেংয়ের বিশালদেহী সে-সব মাংসাশী ডাইনোসররা সরীসৃপ (ক্রেটাসিয়াস) যুগের শেষের দিকে ৯৯ থেকে ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে উত্তর আমেরিকা ও পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়াত।

সূত্রঃ এবিসি নিউজ

0 comments:

Post a Comment