জিম জোনস নামক এক কাল্ট গুরু অনৈতিক কাজে ধরা খেয়ে চাপে থাকার সময় ১৯৭৮ সালের ১৮ নভেম্বার তার ভক্তদেরকে আত্মহত্যা করতে ব্রেইনওয়াশ করে। এই ঘটনায় জিম জোনস সহ তার ভক্তরা মিলিয়ে ৯১৮ জন মানুষ এক সাথে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। চিন্তা করেন, কতখানি ব্রেইনওয়াশ করলে এতগুলো মানুষ গুরুর কথা মত আত্মহত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করে না। বাংলাদেশেও ব্রেইনওয়াশ করা কাল্ট আছে যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোয়ান্টাম মেথড মেডিটেশন।
'কাল্ট (Cult)' হচ্ছে ধর্ম সদৃশ ছোট গোষ্ঠি, দল বা সংগঠন যাদের বিশেষ কিছু আচার ব্যাবহার, নিয়ম কানুন, আধ্যাত্মিক আচারপদ্ধতি থাকে যা একজন গুরু তার ভক্তদের নিয়ে গড়ে তোলে।
আসলে, চোর ডাকাত, সন্ত্রাসীরা এই পৃথিবীতে যতখানি ক্ষতি করেছে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করেছে কাল্ট লীডার এবং তথাকথিত আধা পূর্ণতাপ্রাপ্ত আধ্যাত্মিক গুরুরা। তথাকথিত ভাল কাজের নামে তারা মানুষকে করেছে ব্রেইনওয়াশ এবং হরণ করেছে মানুষের অধিকার।
এইসব ব্রেইনওয়াশ শুরু হয় তথাকথিত কল্যাণের নামে। তারা আপনাকে শেখাবে - টাকা না থাকা, জীবনে কষ্ট করা, যৌনতা থেকে বঞ্চিত থাকা, না খেয়ে থাকা, গুরুর সেবা করা হচ্ছে মুক্তির পথ এবং এভাবে আধ্যাত্মিকতার উচু স্তরে পৌছানো যায়। টাকা-পয়সা হচ্ছে খারাপ। এবং যখন আপনার টাকার প্রতি মোহ থাকবে না, আপনি টাকা ত্যাগ করবেন, তখন এই গুরুরাই আপনার টাকা নেবে, আপনাকে তাদের কাজে লাগাবে। আপনাকে দুনিয়া সম্পর্কে উদাসীন করে দিয়ে তারাই দুনিয়ার ক্ষমতা পাওয়ার জন্য আপনাকে ব্যবহার করবে।
আর যে পথ তারা দেখায় তা অনুসরন করে কখনোই আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌছানো যায় না। কারন অর্থ-সম্পদের আকাঙ্ক্ষা, যৌন আকাঙ্ক্ষা, খাবারের আকাঙ্ক্ষা এগুলো আসলে খারাপ না। এগুলো হচ্ছে 'প্রয়োজন' যা আপনার ভিতর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহই দিয়েছেন। স্রষ্টার দেওয়া ডিফল্ট সেটিংস এগুলো পেতে উদবুদ্ধ করে। অন্যদিকে গুরুর নিষেধাজ্ঞা আপনাকে এগুলো থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করে। যখন আপনি এগুলোকে খারাপ মনে করা শুরু করেন তখন আপনার ভিতর শুরু হয় অন্তর্দ্বন্ধ। আপনি স্রষ্টার দেওয়া ডিফল্ট সেটিংস তথা নিজের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সাথে যুদ্ধ করতে থাকেন, আপনি নিজের সাথে নিজেই যুদ্ধে লিপ্ত হন। আর নিজের সাথে নিজে যুদ্ধ করার ফলে আপনি হয়ে পড়েন দুর্বল।
এটা সত্য যে আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌছলে আপনার জাগতিক আকাঙ্ক্ষা কমে যাবে সয়ংক্রিয় ভাবে। কিন্তু সেই স্তরে পৌছানোর আগেই যদি এগুলোর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং উপেক্ষা করেন তাহলে কখনোই আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌছতে পারবেন না। কারন যত আপনি এগুলোর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হবেন তত এগুলোর আকাঙ্ক্ষা বাড়তে থাকবে। কারন এগুলো আপনার প্রয়োজন এবং প্রয়োজন না মেটালে আকাঙ্ক্ষা বাড়তে থাকে। এর ফলে আপনি শারীরিক, মানসিক, আত্মিক, আধ্যাত্মিক ভাবে আরো দুর্বল হয়ে পড়বেন। আর ভন্ড গুরুরা তো তা-ই চায়। কারন আপনি দুর্বল হলে আপনাকে তার স্বার্থে ব্যাবহার করা সহজ হবে।
মহামতি বুদ্ধ রাজ প্রাসাদে ছিলেন বলেই তিনি রাজ প্রাসাদের মায়া, ধন-সম্পদের মায়া ত্যাগ করতে পেরেছিলেন। যেহেতু তার এই জিনিস গুলোর প্রাচুর্যতা ছিল তাই এগুলো তার কাছে কোন আহামরি কিছু ছিল না। আর তাই তিনি এগুলোর মায়া ত্যাগ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু আমরা যারা এগুলোর প্রাচুর্যতা পাইনি তাদের কাছে এগুলো বিশেষ কিছু। এগুলোকে উপেক্ষা করে আমরা কখনোই এগুলোর আকাঙ্ক্ষা দূর করতে পারব না। এই সত্যটাকে উপেক্ষা করে বলেই অধিকাংশ লোক কখনো আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌছতে পারে না এবং ভন্ড গুরুর পা টিপে জীবন কাটিয়ে দেয়..
সুত্রঃ শেয়ার করুন সবার সাথে ( মাছের বাজার )
'কাল্ট (Cult)' হচ্ছে ধর্ম সদৃশ ছোট গোষ্ঠি, দল বা সংগঠন যাদের বিশেষ কিছু আচার ব্যাবহার, নিয়ম কানুন, আধ্যাত্মিক আচারপদ্ধতি থাকে যা একজন গুরু তার ভক্তদের নিয়ে গড়ে তোলে।
আসলে, চোর ডাকাত, সন্ত্রাসীরা এই পৃথিবীতে যতখানি ক্ষতি করেছে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করেছে কাল্ট লীডার এবং তথাকথিত আধা পূর্ণতাপ্রাপ্ত আধ্যাত্মিক গুরুরা। তথাকথিত ভাল কাজের নামে তারা মানুষকে করেছে ব্রেইনওয়াশ এবং হরণ করেছে মানুষের অধিকার।
এইসব ব্রেইনওয়াশ শুরু হয় তথাকথিত কল্যাণের নামে। তারা আপনাকে শেখাবে - টাকা না থাকা, জীবনে কষ্ট করা, যৌনতা থেকে বঞ্চিত থাকা, না খেয়ে থাকা, গুরুর সেবা করা হচ্ছে মুক্তির পথ এবং এভাবে আধ্যাত্মিকতার উচু স্তরে পৌছানো যায়। টাকা-পয়সা হচ্ছে খারাপ। এবং যখন আপনার টাকার প্রতি মোহ থাকবে না, আপনি টাকা ত্যাগ করবেন, তখন এই গুরুরাই আপনার টাকা নেবে, আপনাকে তাদের কাজে লাগাবে। আপনাকে দুনিয়া সম্পর্কে উদাসীন করে দিয়ে তারাই দুনিয়ার ক্ষমতা পাওয়ার জন্য আপনাকে ব্যবহার করবে।
আর যে পথ তারা দেখায় তা অনুসরন করে কখনোই আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌছানো যায় না। কারন অর্থ-সম্পদের আকাঙ্ক্ষা, যৌন আকাঙ্ক্ষা, খাবারের আকাঙ্ক্ষা এগুলো আসলে খারাপ না। এগুলো হচ্ছে 'প্রয়োজন' যা আপনার ভিতর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহই দিয়েছেন। স্রষ্টার দেওয়া ডিফল্ট সেটিংস এগুলো পেতে উদবুদ্ধ করে। অন্যদিকে গুরুর নিষেধাজ্ঞা আপনাকে এগুলো থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করে। যখন আপনি এগুলোকে খারাপ মনে করা শুরু করেন তখন আপনার ভিতর শুরু হয় অন্তর্দ্বন্ধ। আপনি স্রষ্টার দেওয়া ডিফল্ট সেটিংস তথা নিজের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সাথে যুদ্ধ করতে থাকেন, আপনি নিজের সাথে নিজেই যুদ্ধে লিপ্ত হন। আর নিজের সাথে নিজে যুদ্ধ করার ফলে আপনি হয়ে পড়েন দুর্বল।
এটা সত্য যে আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌছলে আপনার জাগতিক আকাঙ্ক্ষা কমে যাবে সয়ংক্রিয় ভাবে। কিন্তু সেই স্তরে পৌছানোর আগেই যদি এগুলোর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং উপেক্ষা করেন তাহলে কখনোই আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌছতে পারবেন না। কারন যত আপনি এগুলোর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হবেন তত এগুলোর আকাঙ্ক্ষা বাড়তে থাকবে। কারন এগুলো আপনার প্রয়োজন এবং প্রয়োজন না মেটালে আকাঙ্ক্ষা বাড়তে থাকে। এর ফলে আপনি শারীরিক, মানসিক, আত্মিক, আধ্যাত্মিক ভাবে আরো দুর্বল হয়ে পড়বেন। আর ভন্ড গুরুরা তো তা-ই চায়। কারন আপনি দুর্বল হলে আপনাকে তার স্বার্থে ব্যাবহার করা সহজ হবে।
মহামতি বুদ্ধ রাজ প্রাসাদে ছিলেন বলেই তিনি রাজ প্রাসাদের মায়া, ধন-সম্পদের মায়া ত্যাগ করতে পেরেছিলেন। যেহেতু তার এই জিনিস গুলোর প্রাচুর্যতা ছিল তাই এগুলো তার কাছে কোন আহামরি কিছু ছিল না। আর তাই তিনি এগুলোর মায়া ত্যাগ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু আমরা যারা এগুলোর প্রাচুর্যতা পাইনি তাদের কাছে এগুলো বিশেষ কিছু। এগুলোকে উপেক্ষা করে আমরা কখনোই এগুলোর আকাঙ্ক্ষা দূর করতে পারব না। এই সত্যটাকে উপেক্ষা করে বলেই অধিকাংশ লোক কখনো আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌছতে পারে না এবং ভন্ড গুরুর পা টিপে জীবন কাটিয়ে দেয়..
সুত্রঃ শেয়ার করুন সবার সাথে ( মাছের বাজার )
0 comments:
Post a Comment