খুশকি মুক্ত চুল পেতে যা করণীয়!

আসসালামুআলাইকুম। আশা করি সবাই মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও করুণায় ভালোই আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় ও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। প্রথমেই একটু বক বক করে নেই। নয়তো আবার পরে আফসোস করবো এই বলে যে, আহারে! সবাইকে তো টিপস শেয়ার করলাম কিন্তু মনের কথাটা মনেই থেকে গেল? তাহলে ব্লগইন করে মজাটাই বা কি হলো বলুন? তো আজ আমার শরীরটা বেশ ভালো তবে মনটা একটু খারাপ! কেন জানেন?...    তারিখঃ ০৭/০৪/২০১২  |  সবটুকু পড়ুন »

Friday, June 1, 2012

নিয়মিত হাটুঁন এবং সুস্থ্ থাকুন !

বিসমিল্লাহির রহমানীর রাহীম
আশা করি সবাই মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও করুণায় ভালোই আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ভালো নেই। কেননা কারো কারো রয়েছে নানান জটিল সমস্যাবলি। যেমন ধরুন কেউ ভুগছে শারিরীক সমস্যায় আবার কেউ বা মানসিক সমস্যায়। তবে সমসা যাই হউক সেটা তো সমস্যাই তাই নাহ? আর আমার মতে কখনো কোন সমস্যা নিজ দ্বায়িত্বে পুষে রাখা উচিত নয়। কেননা হয়তবা সেই সমস্যাই একদিন আপনার সামনে অনেক বড় রূপ নিয়ে হাজির হতে পারে? যাই হউক বরাবরের মতো স্বাস্থ্য নিয়ে লিখতে লিখতে আজও তার ব্যতিক্রম করলাম না। সব ঝামেলা আর ভোগান্তি পেরিয়ে অবশেষে আপনাদের জন্য লিখতে বসে গেলাম আরেকটা সচেতনামূলক ব্লগ পোষ্ট। আমি আজ যে বিষয় নিয়ে লিখছে বসেছি তার শিরনাম দেখে আপনারা যে আগেই বুঝে গেছেন সেটা আমি অনেক আগেই টের পেয়েছি ...
তো এবার আসুন আমার ভাষণ শেষ করে এইবার কাজের কথায় আসি কেমন..

 

নিয়মিত হাঁটাঃ

হুমম হাঁটা ! যেন এটা আজ আমাদের কাছে হয়ে উঠেছে একটা অসহ্যকর ব্যাপার। এটা স্বাভাবিক ভাবেই যে আমরা একটু আরামপ্রিয় ব্যক্তি। অন্তত বিশেষ করে আমি। হেহে যাই হোক তো হাঁটার নাম শুনলেই যেন আমাদের মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে। কেন জানেন? অনেকে বলে থাকেন আহহ  :D এত দূর হেটে যাবো? উফফ রোদ ! পা ব্যাথা করছে ইত্যাদি ইত্যাদি নানান অজুহাত হাঁটা থেকে বাঁচার জন্য আমাদের। ব্যাপারটা আসলেই স্পষ্ট যে অনেকেই হাঁটা এড়িয়ে চলেন। অনেকে আবার বলে থাকেন : আরে মিঞা ! এইডা টেকু মামার যুগ .. এই যুগে তুমি আমারে কও হাটবার? মিঞা তোমার কি মাথা খারাপ হইয়া গেছে নাকী? যাই হোক বা যে যাই বলুন এটা কিন্তু আমরা কখনো অস্বীকার করতে পারবো না যে হাঁটা আমাদের দেহের জন্য কতখানি উপকারী। এটা যেমন আমাদের দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে তেমনি ভাবে আমাদের অলসতা থেকেও রেহাই দেয়। আর এই গুরুত্বপূর্ণ হাটা সম্পর্কে বেশ কিছু উপকারী দিক সমূহ আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।




হাঁটার উপকারীতা সমূহঃ

  • ব্রেইন এবং হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি কমে যায়।
  • নিয়মিত হাঁটার অভ্যাসের মাধ্যমে শরীরের অনেক পরিমান ওজন কমানো সম্ভব।
  • বুকের ব্যথা এবং বুক ধরফর করা থেকে আরাম পাবেন।
  • নিয়মিত হাঁটলে শরীর ক্লান্ত হয় বিধায় খুব ভাল ঘুম হয়।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ও ক্ষুধা বাড়ায়।
  • নিয়মিত হাটলে উক্ত চামড়াগুলো টানটান হয়ে বয়স কমিয়ে দেয়।
  • যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা নিয়মিত সকাল-বিকাল হেঁটে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারেন।
  • নিয়মিত হাঁটলে দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়।
  • মানসিক টেনশন দূর হয়।
  • হাপানী রোগ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রন করা যায়।
  • শরীর সবসময় তরতাজা থাকে।
  • মাইগ্রেইন বা অর্ধমাথা ব্যাথা দূর হয়।
  • ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় ও রোগ থাকলে নিয়ন্ত্রনে থাকে।
  • প্রতিদিন ১ ঘন্টা হাঁটলে শরীরের চর্বি কমে যায়।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
  • আঙ্গুল পচা, গ্যাংগ্রিণ ইত্যাদি জাতীয় রোগ হয় না বা কম হয়।
  • চেহারায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
  • যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায় ও যৌবনকাল দীর্ঘায়িত হয়।
  • হার্ট ভাল থাকে এবং হার্টে ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা দূর করে।
দেখলেন তো হাঁটার কত উপকারীতা .. কি ভাবছেন? এখন থেকে সব সময়ই হেটে যাবেন? হেহে তা কেন করতে যাবেন ভাই? কথায় আছে না অতিরিক্ত কোন জিনিষই ভালো না। তেমনি ভাবে অতিরিক্ত হাটা হাটি করলেও আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। যেমন ধরুন দুপুরে বিশ্রাম না নিয়ে আপনি Sun Bath করতে বের হলেন? ফলাফল? শূন্য। তেমনি ভাবে আপনি যদি দুপুরে বিশ্রাম নিয়ে বিকালে হাঁটতে বের হন তাহলে তখন সেই রোমান্টিক আবহাওয়াতে আপনার শরীরের পাশাপাশি মনটাও সতেজ হয়ে উঠবে। সুতরাং আর দেরী কেন? আসুন সবাই মিলে ভোর - বিকেলে নিয়মিত ১-২ ঘন্টা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলি। যাতে উপকৃত হব আমরা নিজেই।
যদি কারো উপকারে আসে তাহলেই আমার পরিশ্রম সার্থক ! সবাইকে ধন্যবাদ ..
- মোঃ আব্দুর রহিম

0 comments:

Post a Comment